পেশায় মার্কিন যুদ্ধবিমানের একজন পাইলট। নাম তার ম্যাডিসন মার্শ। মিস আমেরিকা ২০২৪-এর মুকুট জিতলেন এই মার্কিন যুদ্ধবিমানের পাইলট। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়াসহ আমেরিকার ৫০টি অঙ্গরাজ্যের প্রতিনিধিত্বকারী ৫১ জন পেছনে ফেলে এ খেতাব জিতেন ২২ বছর বয়সী মার্শ।
মার্শকে বিজয়ী মুকুট পরিয়ে দেন সাবেক মিস আমেরিকাখ্যাত গ্রেস স্ট্যানকে। আসরে প্রথম রানারআপ হয়েছেন এলি ব্রেক্স, দ্বিতীয় রানারআপ সিডনি ব্রিজেস, তৃতীয় ম্যালোরি হাডসন ও চতুর্থ হয়েছেন ক্যারোলিন প্যারেন্ট।
‘মিস আমেরিকা’র এবারের আসরে যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি রাজ্য অংশ নেয়। ৫১ জন প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে বিজয়ের মুকুট পেয়েছেন ২২ বছর বয়সি ম্যাডিসন মার্শ। কলোরাডোর প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। এই প্রতিযোগিতায় প্রথম রানার আপ হয়েছেন টেক্সাসের এলি ব্রিউ, দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছেন ইন্ডিয়ানার সিডনি ব্রিজেস, তৃতীয় রানার আপ হয়েছেন কেন্টাকির ম্যালরি হাডসন, চতুর্থ রানার আপ হয়েছেন রোড আইল্যান্ডের ক্যারোলাইন প্যারেন্টি। ‘মিস আমেরিকা ২০২৩’ বিজয়ী উইসকনসিনের গ্রেস স্ট্যানকে ম্যাডিসন মার্শকে বিজয়ীর মুকুট পরিয়ে দেন।
জানা গেছে, প্রশ্নোত্তর পর্বের সময়, ম্যাডিসনকে মিস আমেরিকা হিসাবে তার লক্ষ্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়। মিস আমেরিকা তার সামরিক পরিচয়কে ‘আবেগের সঙ্গে’ শেখার এবং নেতৃত্ব দেওয়ার প্রতি তার প্রতিশ্রুতির কথা জানান। আবেগতাড়িত মার্শ ২০১৮ সালে অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে তার মায়ের মৃত্যুর কথাও বলেন। মায়ের মৃত্যু ম্যাডিসনকে ক্যান্সার গবেষণার জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে হুইটনি মার্শ ফাউন্ডেশন তৈরি করেন।
মুকুট জয়ের পর মার্শ বলেন, আপনি চাইলে যে কোনো কিছু অর্জন করতে পারেন। আকাশ আপনাকে থামিয়ে দেবে না। একমাত্র আপনি আপনাকে থামিয়ে দিতে পারেন।
উল্লেখ্য, গত বছর মিস কলোরাডোর খেতাব জিতেছিলেন ম্যাডিসন। তিনি ২০২৩ সালে মার্কিন বিমান বাহিনীর অ্যাকাডেমি স্নাতক হন। মিস আমেরিকা বিজয়ী হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলে পাবলিক পলিসিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করছেন।